1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

মালেশিয়াতে ব্যবসা করার সহজ উপায়

বাংলাদেশিদের জন্য কাজ ও ব্যবসার অবারিত সুযোগ ‍‌আছে মালয়েশিয়ায়। কিন্তু সঠিক ভিসা না থাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি দেশটিতে গিয়ে সব হারিয়ে দেশে ফিরছেন। কাউকে কাউকে সেদেশেই খাটতে হচ্ছে জেলের ঘানি। আর ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দেশটিতে গিয়ে যেসব বাংলাদেশি চাকরি করছেন-তারা ন্যয্য মজুরি থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি স্বল্প বিনিয়োগে ব্যবসাও জমাতে পারছেন না।

মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরও অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন ভিসার ক্যাটাগরি বা মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে। কেউ কেউ সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে। তাই সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার সবটুকু সুযোগ নিতে হলে আপনাকে প্রথম থেকেই সঠিক পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী এগুতে হবে। বেছে নিতে হবে আপনার জন্য সঠিক ভিসাটি।

জেনে রাখা ভালো, মালয়েশিয়া সরকার তাদের ব্যবসার বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত ও সহজ করে দিয়েছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোন দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম খরচে, সহজে ও নিরাপদে বিনিয়োগ করা যায় দেশটিতে।

এই সম্ভাবনার আইনগত দিক ও প্রকৃত বাস্তব অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানতে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, স্বল্প বিনিয়োগকারীদের জন্য মালয়েশিয়া প্রকৃত পক্ষেই একটি ভালো সমাধান।

সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোকজন বেড়াতে আসে দেশটিতে। তাছাড়া দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ও ভারতীয় বসবাস করছে। ভোক্তা হিসাবে এরাও একটি বিশেষ শ্রেণি। একই স্থানে বিভিন্ন জাতির এই বিপুল ভোক্তার চাহিদা মেটানো সম্ভব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে।

তাছাড়া জমি-জমা লিজ নিয়ে কৃষি খামার, মৎস্য চাষ, ডেইরি ফার্ম বা মানুষের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিক্রয় করে বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে, গাড়ি বিষয়ক ব্যবসা, খাবার ও থাকার ছোট-বড় হোটেল স্থাপন করে, চেইন শপ এর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে, আইটি রিলেটেড ব্যবসা, ফাস্ট ফুড এর দোকান প্রতিষ্ঠা করে সহজেই ব্যবসা করা যায়। বসবাস করা যায় সপরিবারে।

মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি কোম্পানি খুলতে হবে। ফেরতযোগ্য জামানত হিসাবে অল্প পরিমান টাকা ব্যাংক একাউন্টে রেখে কোম্পানি খুলে যে কোন ধরনের ব্যবসা করা যাবে। মালয়েশিয়ায় ট্যাক্স দিতে হয় লাভের উপরে এবং পরিমানেও তা অতি অল্প।

আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পরে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া যায় বেশ সহজেই। ২ বছর পর পর ভিসা নবায়ন করে আজীবন বসবাস করা যায় এবং ৫ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। গত কয়েক বছরে বহু বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্ব বা মালয়েশিয়ান পাসপোর্ট পেয়েছেন।

সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে পিআর রিফিউজড হওয়ার সম্ভ‍াবনা থাকে না। এ ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হল কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশ প্রয়োজন হয় না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থা থেকেও কোনো প্রত্যয়নপত্র (রিকমন্ডেশন লেটার) দেখাতে হয় না।

আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র তিন শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব।তাহলে আর দেরি না করে নিজের ও পরিবারের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ব্যবসার পরিকল্পনা করে ফেলুন। শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ সনদ নিয়ে তৈরি হন মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিতে।

মালয়েশিয়ায় দু’ভাবে কোম্পানি ওপেন করে ব্যবসা করা যায়। Offshore Company (International Company) এর অধীনে ১০০% ফরেন শেয়ারে বা Sdn. Bhd. কোম্পানির মাধ্যমে Employment Pass নিয়েও যে কেউ বৈধ ভিসা নিয়ে সপরিবারে বসবাস ও ব্যবসা করতে পারেন অতি সহজেই।

তবে Sdn. Bhd. কোম্পানির অধীনে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতা অনেক বেশী। Visa Renewal করার সময়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, সেক্ষেত্রে International Company এর অধীনে ভিসা প্রাপ্তির কোন জটিলতা নেই বললেই চলে।

গত কয়েক বছর ধরেই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে কাজ করছেন ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু। তার হাত ধরেই অনেকে নিয়েছেন মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব। কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, একাউন্ট ওপেনিং (ATM কার্ড) সহ সব ধরনের ব্যবসা স্থাপনে সকল প্রকার আইনগত সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তিনি।

ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ কার্য দিবসের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে নির্দিষ্ট কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রার্থীকে ডেকে নেয় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস। ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু আরো বলেন, মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র দাখিল করলে কোনো প্রার্থীর আবেদনের ফাইল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এক্ষেত্রে সততাই বড় বিষয়।

তিনি বলেন, ভালো কনসালটেন্সি ফার্ম মূলত মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশি প্রার্থীদের রেসিডেন্স অনুমোদন সেবা দেওয়ার কাজ করে থাকে। মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব পেতে এবং বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে কি কি করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন advahmed@outlook.com বা raju.advocate2014@gmail.com এই ই-মেইল ঠিকানায়।

আরো জানতে ভিজিট করতে পারেন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। অথবা আপনি ঢাকার উত্তরায় ৭ নং সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন। তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ ডটকম।

More News Of This Category