1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

লাভজনক আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার গাইডলাইন!

বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য আর ছোটখাটো অবস্থানে সীমাবদ্ধ নেই। অভ্যন্তরীণ গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও। বাংলাদেশে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা নানা ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে।

এ সম্পর্কে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম ফারুক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করে আসছি। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা। শুধু ওষুধের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রযোজ্য নয়, যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ হলো পণ্য রপ্তানির পূর্বশর্ত।’

তিনি আরও বলেন, পণ্য যাতে ব্যবহারকারীর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ওষুধ ছাড়াও বাংলাদেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মান নিয়ন্ত্রণ ও দামের দিক থেকে বাংলাদেশি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। তাই এ খাতে বিনিয়োগ করে আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় যোগ দিতে পারেন আপনিও।

সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র: আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি কিছু কিছু পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশেও বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা ও ঘাটতি থাকায় আমদানি-রপ্তানি খাতে অনেক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কথিকা ট্রেড এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুল আলম বলেন, ‘পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের এ প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম।

আগে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন−হস্তশিল্প, চামড়াজাত দ্রব্য, পোশাকশিল্প, অডিও সিডি, পোলট্রি খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী আমদানি-রপ্তানি করেছি। কিন্তু বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অন্যান্য পণ্যের চেয়ে পাটজাত পণ্যের কদর বেড়েছে। তাই পাটজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা জোর দিয়েছি।’

আমদানি-রপ্তানি একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র−জানালেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য কর্মকর্তা রহিমা আক্তার। প্রতিনিয়ত এ খাতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং রকমারি পণ্যসামগ্রী রপ্তানির আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য উন্নয়ন বিভাগ নতুন নতুন পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

এ ছাড়া আমাদের এখানে নতুনদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থাগারের সুবিধা উল্লেখযোগ্য। গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক পত্রিকা, বই এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে এখানে এসে আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক যাবতীয় বিষয় যেমন−বিশ্বের কোন কোন দেশে কী ধরনের পণ্যের চাহিদা রয়েছে এবং বিশ্বের সামগ্রিক মানচিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।

আমাদের মেলা বিভাগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেলার আয়োজন করে থাকে। যে কেউ ওই মেলায় অংশ নিতে চাইলে তথ্য বিভাগ তাদের সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া আমাদের এখানে আগ্রহীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং একটি আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক তহবিল রয়েছে। এ তহবিল থেকে বিভিন্ন রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহাযোগিতা করা হয়।’

কীভাবে শুরু করবেন: এ ব্যবসায় যে কেউ সহজে বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রথমত, থাকতে হবে সরকারি অনুমোদন এবং একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান−জানালেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রশাসনিক সহকারী জাকির আহমেদ। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হলে সর্বপ্রথম থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স এবং আমদানি ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) এবং (ইআরসি)।

ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে সিটি করপোরেশন থেকে, আইআরসি এবং ইআরসি সনদ নিতে হবে প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে। এ ছাড়া পণ্যের ধরন অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক সনদ অথবা চেম্বার অব কমার্সের অনুমোদন থাকতে হবে। তারপর পণ্য রপ্তানির সময় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক কিছু অনুমোদন থাকাটা অনেক জরুরি। সেগুলো হলো সার্কভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে সাপটা ও সাফটা সনদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে জিএসটিপি সনদ ও সিও সনদ এবং কোরিয়ার জন্য কেপিটি সনদ উল্লেখযোগ্য।

ব্যাংকের কার্যাবলি: আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হলে ব্যাংকের হিসাব খোলা একটি প্রাথমিক কাজ। ব্যাংক হিসাব খুলতে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। ব্যাংক সচ্ছলতার পরিচয়স্বরূপ একটি সনদ দেবে, যা এই ব্যবসায় স্বীকৃতির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে আমদানি-রপ্তানিকারীরা বিনিয়োগের জন্য ঋণ পেয়ে থাকেন।

ঋণপ্রাপ্তির বিষয় সম্পর্কে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় সব বাণিজ্যিক ব্যাংক আমদানি-রপ্তানি খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা পোহাতে হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ পোষণ করে থাকে। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিয়ে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।

কী ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করবেন: পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়−জানালেন হটেক্স ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এম রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কী ধরনের পণ্য কোন দেশে পাঠাবেন এবং ওই দেশে ওই পণ্যের চাহিদা কেমন সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে।

যেমন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও ফুলের খুব কদর রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে বাংলাদেশি পোশাকের অনেক চাহিদা আছে। এমন বিষয় সম্পর্কে সার্বিক ধারণা রেখে পণ্য বাছাই করা উচিত। বাংলাদেশে আমদানিজাত অনেক পণ্য রয়েছে।

এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রী, শিল্প-কারখানার জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, পরিবহনসামগ্রী, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশন, ওভেন, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন গৃহসামগ্রী, খনিজতেল, ভোজ্যতেল, চর্বি, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ, খাদ্যশস্য, শিশুখাদ্য, পানীয় দ্রব্য ইত্যাদি। আর রপ্তানিজাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট, চা, চামড়া, তামাক, পাটজাত দ্রব্য, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, রকমারি ফুল ইত্যাদি।

যোগাযোগ দক্ষতা: যোগাযোগ দক্ষতা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি জরুরি বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমদানি ও রপ্তানিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে এবং বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে। এসব প্রতিষ্ঠানে যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদের সঙ্গে একটা ভালো যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে কাজ করে দেওয়ার প্রবণতা থাকলে এ খাতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চুক্তি অনুযায়ী দ্রুত ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করে দিতে হবে এবং নিজেকে বিশ্বস্ত হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। সাধারণত দুই মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির কাজ করা হয়−নৌ ও আকাশপথ। তবে ভালো মানের ও বেশি পরিমাণে পণ্য পাঠাতে চাইলে মালবাহী সমুদ্রগামী জাহাজে পাঠানো ভালো।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা: আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় ইংরেজি ভাষার অনেক গুরুত্ব রয়েছে−জানালেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তা জাকির আহমেদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার কোনো বিকল্প নেই। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতে হয়।

সেক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হলে অনেকাংশে সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফরাসি, স্প্যানিশ, মান্দারিন, জাপানিজ, জার্মান ভাষা জানা থাকলে এ পেশায় বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ওই দেশগুলো বাংলাদেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বেশি ভুমিকা রাখছে।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান: ব্যবসায় নামতে হলে প্রতিষ্ঠানকে আমদানি-রপ্তানি উপযোগী করে স্থান নির্ধারণ করতে হবে। ব্যবসার জন্য সমুদ্রবন্দর বা স্থলবন্দর এলাকা বাছাই করতে পারেন। এতে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। দুটি পথে বিভিন্ন ধরনের লোক নিয়োগ করতে পারেন। একটি কাস্টমসকেন্দ্রিক; অন্যটি সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরকেন্দ্রিক। এ ব্যবসায় দ্রুততার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। সময়মতো রপ্তানি পণ্য পাঠানো এবং আমদানি পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে হবে।

সহযোগী প্রতিষ্ঠান: আমদানি-রপ্তানির ব্যাপারে যেসব প্রতিষ্ঠান আপনাকে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে, সেগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিদেশে অবস্িথত বাংলাদেশের মিশনগুলো, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সাধারণ বীমা করপোরেশন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ শপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, বিদেশি জাহাজ কোম্পানিগুলোর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট), শিল্প ও বণিক সমিতি এবং হটেক্স ফাউন্ডেশন অন্যতম।

প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি: প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি এ ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ছড়াতে চাইলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এ ছাড়া বিলবোর্ড ও প্রচারপত্রের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পারলে যেকোনো ক্রেতা আপনাকে খুঁজে নেবে।

বর্জনীয় দিক: কোনো অবস্থাতেই বিদেশি বা দেশি ক্রেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা যাবে না। কেননা, তা আপনার দেশের খ্যাতি ও ব্যক্তিগতভাবে আপনার ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হতে পারে। গৃহীত নমুনা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সময় পণ্যের মান সংরক্ষণে উদাসীন হবেন না। ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার সপক্ষে একান্ত গোপন তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করবেন না।

ব্যবসায়িক জ্ঞানার্জনে কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার সদুপদেশ উপেক্ষা করবেন না। ব্যবসা পরিচালনায় দেশের প্রচলিত আইন অমান্য, উপেক্ষা কিংবা অপপ্রয়োগ করবেন না। ব্যবসায়ে সাময়িক ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগের স্বার্থে ভারসাম্যহীন দর প্রদান করে ব্যবসায়িক নৈতিকতা খর্ব করবেন না।

ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণকালে ক্রেতাদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করবেন না, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। ব্যবসায়িক লেনদেনে এমন কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নেবেন না, যা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দেশের স্বার্থের পরিপন্থী হয়। কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির আশ্রয় নেবেন না। কারণ, সর্বশেষ বিশ্লেষণে তা আপনার এবং দেশের মঙ্গল সাধন করে না।

More News Of This Category