1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

চাকরি কেন ছাড়বেন!

ব্যক্তিগত জীবনকে কর্মক্ষেত্রের প্রভাবমুক্ত রাখা সবার জন্যই দুষ্কর। যখন অফিসে আপনার খারাপ সময় যাবে তখন আপনি বুঝন কিংবা না বুঝুন তা আপনার জীবনের প্রত্যেকটি কাজের ওপর প্রভাব পড়বে। তবে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই কঠিনতর একটি ব্যাপার। তবে কর্মক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর সম্মুখীন হতে হলে চাকরি ছেড়ে দেওয়াটাই উত্তম কাজ হবে বলে ফক্স বিজনেসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনার ভালো লাগছে না
কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজটি আপনার ভালো না লাগলে তার প্রভাব পড়তে পারে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর। আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে অসুখী হন এবং প্রতিনিয়ত অবসাদগ্রস্ত হন তবে আপনার কর্ম পরিবেশের মূল্যায়ন করার সময় এসেছে।

কাজটা আপনি কতটা পছন্দ করছেন তা নিজেকেই আরেকবার জিজ্ঞাসা করুন। কাজটি যদি ক্রমাগতই আপনি অপছন্দ করতে থাকেন তবে হয়ত কাজটি করার জন্য আপনার নিজেকে মোটিভেট করা অনেকটা কষ্টকর। তবে স্বাস্থ্য খারাপের জন্য প্রথমেই চাকরিকে না দুষে ডাক্তারের কাছে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিশৃঙ্খলা
কর্মক্ষেত্রের বাইরে নিজের জন্য কোনো সময় না পাওয়ায় আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো যদি ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে তবে নিজের চাকরি নিয়ে আরেকবার ভাবার সময় এসেছে আপনার। আপনি হয়ত কাজকে খুব পছন্দ করছেন তবে এজন্য আপনার সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা এই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার প্রয়োজন নেই।

কেউই জানেন না জীবন কোন দিকে যাবে এবং কোনো চাকরিও স্থায়ী নয়। চাকরির পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও ভারসাম্য রাখতে হবে। কাজের জন্য যদি ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে আপনি ধরে রাখতে না পারেন তবে আপনার বর্তমান চাকরিটি নিয়ে আরও একবার ভাবা উচিত।

আপনি মুডি, অধৈর্য, বিষণ্ণ কিংবা রাগান্বিত হয়ে যাচ্ছেন
আপনি যদি খুব স্বাভাবিক একজন মানুষ থাকেন এবং চাকরিতে যোগদানের পর হুট করেই উপরের লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে দেখতে পান তবে এজন্য নিজের চাকরিকে দোষারোপ করতে পারেন আপনি।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের লোকেরা জেগে থাকা সময়ের অর্ধেকটাই অফিসে কাটান। তাই আপনার ব্যবহারে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসলে তার জন্য চাকরিকে আপনি দায়ী করতেই পারেন। তবে এ কারণে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে আপনার এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন যে চাকরির জন্যই এ সমস্যার তৈরি হচ্ছে।

আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে মিলছে না চাকরি
ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনে যদি আপনার কোনো লক্ষ্য না থাকে তবে এখনই সে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনি যখনই আপনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন তখন এটা ভেবে দেখুন যে আপনার লক্ষ্যর সঙ্গে চাকরিটা মিলছে কিনা। যদি না মিলে তবে আপনার উচিত হবে নিজের ক্যারিয়ারের পথকে ঠিক করা। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাজটি যদি বর্তমান অফিসেই করতে পারেন তবে সেটা খুবই ভালো। আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে আপনার বস কিংবা মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে কথা বলুন। যদি কোনোভাবেই আপনার লক্ষ্যের কাজটি আপনি করতে না পারেন তবে ভেবেচিন্তে চাকরিটি পরিবর্তন করুন।

তথ্যসূত্র: ফক্স বিজনেস

More News Of This Category