1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

সময় বাঁচিয়ে চলার কৌশল!

আমরা প্রতিনিয়ত সময়ের অপচয় করছি। কিভাবে আমাদের মূল্যবান সময়গুলো চলে যাচ্ছে নিমিষে এটা আমরা বুঝতেও পারছি না। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে সময়ের প্রতিটা মুহুর্ত আমরা খুব ভালভাবে কাজে লাগাতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নিই সময় বাঁচিয়ে অধিক কাজে লাগানোর উপায় সম্পর্কে:

১. প্রত্যেকটি জিনিস তার নির্দিষ্ট স্থানে রাখ। ঘরের চাবি বা গাড়ির চাবি টেবিলে বা ড্রয়ারে রাখ ও কাজ শেষ করে আবার ঐ একই জায়গায় রেখে দাও। তাহলে চাবি খোঁজার জন্য তোমার অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে না। ঠিক একইভাবে অন্যান্য বিষয়গুলো সংরক্ষণ করা যায়।

২. কখনো এক সাথে একাধিক কাজ করবে না (Don’t multitask) এটি অধিকাংশ লোকের সময় নষ্ট করার অন্যতম কারণ। একদল আমেরিকান গবেষকের গবেষণার ফলাফলে পাওয়া যায়। Multitasking-এর জন্য ৪০% Productivity কমে যায় কারণ হিসেবে দেখান হয় এক কাজ শেষ না করেই অন্য কাজ শুরু করলে নতুন কাজের জন্য mentality তৈরি হয়ে কাজ শুরু করতে অনেকটা সময় নেয় যা কাজের ফলাফলকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করে।

৩. একটি ক্যালেন্ডার ব্যবহার কর এবং সেখানে তোমার কী করা দরকার লিখে রাখ এবং কখন করতে হবে তাও লিখে রাখ। এটা খুব কঠিন নয় তুমি তোমার কাজগুলো electronic calendar বা কাগজে লিখে রাখবে। যদি তুমি এটা মানতে পার তাহলে তুমি একটির পর একটি কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবে। এটি দু’টি উদ্দেশ্য পূরণ করবে (১) গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ বাদ পড়বে না, (২) তালিকার সব কাজ করতে পারবে। ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা (অথবা smart phone apps ব্যবহার)-তোমার আগের দিনের ও পরের দিনের কাজের সফলতার সুস্পষ্ট পার্থক্য নির্দেশ করবে।

৪. সফলতার জন্য বারবার চেষ্টা করা। আমরা অবলীলায় অনেক সময় নষ্ট করি। একটি কাজকে নির্দিষ্ট করা ও শেষ করা, এরপর অন্য কাজ শুরু করা যথাসময়ে অনেক কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে। পূর্বের সফলতা পর্যালোচনা করে ও তোমার মনোযোগ বৃদ্ধি করে তুমি তোমার কাজের যোগ্যতাকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে পার।

৫. বদঅভ্যাস বন্ধ কর। বদঅভ্যাস তোমার নিজের শত্রু। কী ধরনের তোমার বদঅভ্যাস আছে এবং তার জন্য কী ক্ষতি হচ্ছে তা মূল্যায়ন কর এবং overcome করার জন্য চেষ্টা কর। বিভিন্ন ধরনের ভুল বোঝাবুঝি দূর করে সৌন্দযের্র স্বাদ আস্বাদন কর। এটি শুধু তোমার ছোট ছোট সময় বাঁচাবে তাই নয় তোমার নিজেকেও অন্যের সামনে সহজ করে তুলবে।

৬. কী ধরনের কাজ করবে তার পরিকল্পনা কর এবং তোমার পছন্দকে নির্ধারণ কর। অনেক ধরনের কাজের মধ্যে তুমি কোন ধরনের কাজকে পছন্দ কর তা নির্ধারণ কর।

৭. রুটিন মেনে চলাকে ভালোবাসতে শেখ। রুটিন সময়কে যথাযথ ব্যবহারের একটি উত্তম হাতিয়ার। উদাহরণস্বরূপ একজন ব্যক্তি প্রতিদিন সন্ধ্যায় Coffee shop-এ যায় এবং নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করে ফিরে আসে। রুটিন কাজকে গতিশীল করে নতুন কিছু অন্বেষণের পথকে সুগম করে। এবং এটা একটার পর একটা নুতন চিন্তাকে সন্নিবেশ করার সুযোগ তৈরি করে।

৮. সময়ের ক্রমোন্নত ব্যবহারকে প্রাত্যহিক কাজের অংশ হিসেবে তৈরি কর। সময়ের যথার্থ ব্যবহারের গতিকে দিন দিন বৃদ্ধি করতে থাক। এটা যেন তোমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে যে তোমার নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য এটি করা প্রয়োজন।

৯. তোমার ব্যক্তিগত সময় নষ্টের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত কর ও দূর করার চেষ্টা কর। কেউ যদি প্রতিদিন সকাল ঘুমের জন্য ৪৫ মিনিট নষ্ট করে ৫ মিনিট কমানোর জন্য নরম বিছানার পরিবর্তে শক্ত বিছানার ব্যবহার শুরু করা উচিত। এভাবে এক সময় সে ঐ নষ্ট করা সময়গুলো কাজে লাগাতে শিখবে। তার সাথে (ll time management tips) প্রয়োগ করার জন্য চেষ্টা করবে।

১০. বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপমুক্ত থাকা। আমরা স্বাভাবিকভাবে আমাদের জীবনের ২০টি বছর সফলতার সাথে অতিক্রম করি কিন্তু আমরা যদি পেছনের দিকে লক্ষ করি, দেখা যাবে আমরা ভুল পথে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি, যা চিন্তা করতে গেলে আমাদের মাঝে অনেক হতাশা আসবে। কিন্তু আমাদের ঐ হতাশাকে দূরে ঠেলে সামনের পথে চলতে হবে। এবং এখান থেকেই জীবন গড়ার জন্য কাজ শুরু করতে হবে। সময় বাঁচানো স্বাস্থ্য বাঁচানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এটা মনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা যদি সময়ের ছকে জীবনটাকে বাঁধতে পারি সফলতার সুখ পাখিটা আমাদের হাতে ধরা দেবেই।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

More News Of This Category