1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

সফলতা পেতে হলে মাল্টিটাস্কিং!

একসঙ্গে অনেক কাজ? ঠিক সামলে উঠতে পারছেন না? কোনটা আগে সম্পন্ন করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন? এ রকম অবস্থায় টপ স্পিডে, এফিশিয়েন্টলি কাজ সামলাতে প্রয়োজন মাল্টিটাস্কিং। এই গুণটি থাকলে খুব সহজেই এ রকম অবস্থা মোকাবিলা করা যায়।

বসের প্রতিটি অ্যাপয়েনমেন্ট, মিটিংয়ের সময় লিখে রাখা আর বারবার মনে করিয়ে দেওয়া মার্জিয়ার (ছদ্মনাম) প্রথম দায়িত্ব। বসের ট্যুরে যাওয়া, প্লেনের টিকিট বুক করা, প্রেজেন্টেশন বানানো, হোটেল বুকিং আরও কত কি যে অফিস আওয়ার্সে তাকে করে উঠতে হয় তা কাউকে বলে বোঝানো অসম্ভব।

যদিও মার্জিয়ার বস অর্ণব সাহেব ভীষণ কো-অপারেটিভ কিন্তু পান থেকে চুন খসলেই ভয়ঙ্কর বিরক্ত হন। কাজের চাপে মার্জিয়া মাঝে মাঝে খেতেও ভুলে যায়। রাতে ঘুমের মধ্যেও অসমাপ্ত কাজের কথা ভেবে চমকে উঠে। এই অমানসিক ওয়ার্ক প্রেসারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে খুব বিধ্বস্ত লাগে দিনের শেষে। মনে হয় জীবনে কাজ ছাড়া আর কিছুই নেই।

অফিসের কাজ সামলাতে সামলাতে যারা অসহিষ্ণুতার শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছেন, তাদের জপমন্ত্র একটাই মাল্টিটাস্কিং। মাল্টিটাস্কিং বলতে আমরা এক বিশেষ ধরনের দক্ষতাকে বুঝি যার সাহায্যে একাধিক কাজ একই সময় করা যেতে পারে।

পৃথিবীজুড়ে সমীক্ষায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি দক্ষ মাল্টিটাস্কার। কাজের ফাঁকে দরকারি ফোন কল সেরে নেওয়া, ল্যাপটপে কাজ করতে করতে ইমার্জেন্সি ফোন নম্বর টুকে নেওয়া বা টিফিন ব্রেকে সহকর্মীদের সঙ্গে মিনি মিটিং সেরে নেওয়া— সবই মাল্টিটাস্কিং।

সারভাইভাল স্ট্র্যাটেজি : মাল্টিটাস্কিংয়ের প্রথম এবং শেষ কথা হলো গুছিয়ে কাজ করার ক্ষমতা। প্রতিদিন অফিস ছাড়ার আগে পরের দিনের নির্দিষ্ট কাজের একটা খসড়া ড্রাফট করে রেখে গেলে সুবিধা হয়। এর জন্য প্রথমেই দরকার একটা ভালো প্লানার কাম-ডায়েরি। প্রতিদিনের নির্দিষ্ট সময়ের পাশে অফিশিয়াল এনগেজমেন্ট প্রায়োরিটি অনুযায়ী স্পষ্ট করে লিখে নিন যাতে কোনোভাবেই ভুলে না যান। পরের দিন সকালবেলা ব্রেকফাস্ট করতে করতে ওয়ার্কলিস্ট চেক করে নিন।

কোনো কাজ ‘পরে করব’ বলে ফেলে রাখবেন না। অফিসে কাজ চলাকালীন অজস্র ফোন নম্বর বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নোট করতে হতে পারে। হঠাৎ নতুন কাজ এসে যাওয়াও অসম্ভব নয়। বেশির ভাগ সময়ই হাতের কাছে পড়ে থাকা কাগজে কোনো মতো করে জরুরি মেসেজ লিখে, আমরা পরে ভুলে যাই। এই সমস্যা এড়াতে ফোনে কথা বলার সময় বাজে কাগজে জরুরি তথ্য লিখলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেয়ার করে লিখে নিন।

অফিস থেকে বাড়িতে ফোন করার জন্য একটা সময় নির্দিষ্ট করে রাখুন। ছেলেমেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময়টাই সবচেয়ে ভালো। নিজের ডেস্ক বা আলমারি গোছাতে গোছাতে বাচ্চাকে ফোন করে স্কুলের খবরা-খবর নিন, খাওয়া-দাওয়া, খেলতে যাওয়া, হোমওয়ার্ক সম্পর্কিত ইনস্ট্রাকশন ফোনেই দিয়ে দিন।

কাজের চাপ যতই হোক না কেন, দুপুরের লাঞ্চ বা ইভনিং স্ন্যাক্স কখনো মিস করবেন না। ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে খাওয়ার সময় না থাকলে বাড়ি থেকে প্যাকেট লাঞ্চ নিয়ে আসুন। কম্পিউটারে গেমস খেলতে খেলতে বা ক্রসওয়ার্ড সলভ করতে করতে লাঞ্চ করুন। মোবাইলে ফোন করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিলেও স্ট্রেস রিলিফ হবে। এ ছাড়াও অফিসে কিছু ড্রাই ফুড স্টোর করুন যাতে কাজ করতে করতেই টুকটাক খেয়ে নিতে পারেন।

More News Of This Category