1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ঘরে তৈরী মিনারেল ওয়াটার!

সুপেয় পানি হিসেবে সকলের মিনারেল ওয়াটার অর্থাৎ খনিজ পানিই প্রথম পছন্দ। এর যথার্থ কারণও রয়েছে। খনিজ পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। চিকিৎসকরা বলেন, হজমের সমস্যা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মিনারেল ওয়াটার পান করা ভাল। বাতের সমস্যা থাকলেও এটি কাজে আসে। তবে রোজ রোজ তোয়ার পানি কেনা সম্ভব নয়। তবে সহজেই বিশুদ্ধ পানিকে খনিজ পানিতে রূপান্তর করা সম্ভব। আর তাই আজ আপনাদের জানাব মিনারেল ওয়াটার তৈরির সহজ উপায়।

১। প্রথমে দেখে নিন মিনারেল ওয়াটার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো। বিশুদ্ধ পানি-১ লিটার, বেকিং সোডা -চা-চামচের ১/৮, ইপসম সল্ট – চা-চামচের ১/৮ এবং পটাসিয়াম বাইকার্বোনেট – চা-চামচের ১/৮। তবে ২ লিটার মিনারেল ওয়াটার তৈরি করতে বেকিং সোডা, ইপসম সল্ট এবং পটাসিয়াম বাইকার্বোনেটের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ চা-চামচের ১/৪ করে নিন।

২। প্রথমে পানি ফিল্টার করে নিন। তারপর পাত্রে পানিটি রাখুন। খেয়াল করবেন পাত্রটি যেন পরিষ্কার থাকে।
৩। এ বার ওই ১ লিটার ফিল্টার করা পানিতে চা-চামচের ১/৮ বেকিং সোডা দিন।
৪। এ বার ওই মিশ্রণে ইপসম সল্ট বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দিন। খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ইপসম সল্ট ব্যাকটেরিয়াল অ্যাটাকের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।

ব্যাস এবার পানি বোতলে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। তৈরি হয়ে গেল মিনারেল ওয়াটার। মিনারেল ওয়াটার বাতের সমস্যা বা হজমের গোলমাল মেটায়। নিয়মিত মিনারেল ওয়াটার পান করলে দেহে ক্যালসিয়ামের অভাবও পূরণ হয়। ফলে ভঙ্গুর নখ, দাঁত এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই পানিতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি খুবই কার্যকরী। সেই সঙ্গে এতে সালফেট থাকায় অ্যাসিডিটি কমাতেও সাহায্য করে।

তত্যসূত্র: বাংলা ইনসাইডার ডটকম।

More News Of This Category